October 8, 2024, 10:53 pm

সংবাদ শিরোনাম
প্রশাসন সংস্থা ব্রিটিশ আইনের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা চলতে পারে না-পর্ব ৭ মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমি ছাড় দেওয়া হবে না, পর্ব ৬ স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষে বগুড়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা!

ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান করোনা ভাইরাসে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে সব সময় জনগনের পাশে

বিল্লাল হুসাইন,ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার চেয়ারম্যান জননেতা জনাব মনিরুল ইসলাম, কোন নাম না একটি ব্রান্ড। তৃণমূলের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রাণের স্পন্দন। তিনি ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদের পরিশ্রমী চেয়ারম্যান। তার কর্মগুণের জন্য পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন মানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা আর তার প্রতিফলন হিসাবে, গত উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর থেকেও ৫৪ হাজার ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। যে কোনো জনসেবামূলক কাজ তিনি তড়িৎকর্মা হয়েই করে দেন। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেই, তিনি ঘোষণা করেছিলেন তার পরিষদের দরজা সবার জন্য খোলা। তিনি তার ঘোষণাকে বাস্তবায়ন করেছেন।যশোর-২(চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অবঃ) অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের, একমাত্র আস্থাভাজন মিষ্টভাষী নিরঅহংকারী এ মানুষটির সাদামাটা, স্বভাবসুলভ আচরণে মুগ্ধ শুধু খোদ তার দলের লোকই নয়, তার কাজের ও দুরদর্শিতার প্রসংশা করে বিরোধী দলের লোকেরাও।করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় অফিস ছেড়ে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, রাতদিন মাঠে কাজ করছেন তিনি। দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হওয়ার পর পরই তিনি মাঠে নেমে, উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে  জীবাণুনাশক পানি স্প্রে করেন, তাকে প্রতিদিনই উপজেলার কোন না কোন প্রান্তে কাজ করতে দেখা যায়।কোনদিন তিনি হ্যান্ডমাইক নিয়ে ঘুরে ঘুরে কথা বলে, জনগনের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করেন। কোনদিন লিফলেট বিতরণ করে সবার মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করেন। কোনদিন তিনি লোকজনের মাঝে ত্রাণ, মাস্ক ও হ্যান্ড সানিটাইজার বিতরণ করেন।এভাবেই কাটছে তার প্রতিদিনের সময়। করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) বৈশ্বিক মহামারির ছোবলে লণ্ডভণ্ড গোটা বিশ্ব। স্থবির থমকে যাওয়া বিশ্বে এখন শুধু গগনবিদারী আহাজারিতে ছেয়ে গেছে। আশার আলো করোনা বিদায় নামক সূর্য কখন দেখা যাবে কেউ জানেনা, তবে ব্যতিক্রম পরিস্থিতি ঝিকরগাছার বেলায়। দেখা যাচ্ছে একজন জনপ্রতিনিধি বা জনসেবক রাত-বিরাতে নাওয়া খাওয়া, পরিবার-পরিজনক ও ঘর-সংসার ভুলে করোনায় নিজের জীবনের ঝুঁকিতে আছে, এমন বিষয়টি বুঝতে পেরেও জনগণের পরমবন্ধু হয়ে জনসেবায়, এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুল ইসলাম।গত দুই মাস ঝিকরগাছা উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার যে কোন প্রান্তে রাত- কি দিনে , মাঠে-ময়দানে আছেন আজও। কখনো ত্রাণ নিয়ে ছুটছেন অসহায় ও কর্মহীন মানুষের দ্বারে-দ্বারে। আবার কখনো করোনারোধে প্রতিকার এর প্রচারণায় ছুটে চলছেন, নিরোবধি প্রত্যন্ত ও দুর্গম গ্রামের পাড়া গাঁয়ে। এমনকি রোজা রেখেও প্রচন্ড গরমে ছুটে চলেছে উপজেলার এপ্রান্ত থেকে  অপর প্রান্তে।তিনি উপজেলা পরিষদের ত্রাণ তহবিল গঠন করে হাজার হাজার পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, আটা, আলু, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয়  খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যহত রয়েছে। সর্বশেষ দেখা যায়, উপজেলার বহিলা পাড়ার সকল হিজড়া সম্প্রদায়ের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে।এছাড়া উপজেলার হতদরিদ্র, দিনমজুর, হোটেল শ্রমিক, সেলুন, ভ্যান চালক, মৎস্যজীবী, বেকার কর্মহীন, নসিমন চালক, জেএসএ চালক, মটর শ্রমিক, খেলোয়াড়, প্রতিবন্ধী, হকার, ফেরিওয়ালা, হিজড়া ও শিশুদের মাঝে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ পূর্ণবাসন মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে শিশুখাদ্য বিতরণ করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুল ইসলাম এর সহধর্মীনি আফরোজা ইসলাম বলেন, আমার স্বামী  জনগণের একজন সেবক মাত্র,এর বেশি তিনি নিজেকে কিছুই মনে করিনি, করে ও না। আর কখনো করেনা বলে আমি বিশ্বাস করি।তিনি ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ৬-৭ ঘন্টা বাড়ীতে স্ত্রী সন্তানদের সাথে সময় দেন, কিন্তু এ সময়ের মধ্যে ফোনে কথা বলা ইত্যাদি কাজে ব্যাস্ত থাকে। এত কিছুর মাঝেও তিনি আমাকে মাঝে মাঝে বলেন, এই কাজটা করতে পারলে উপজেলাবাসীর উপকার হতো। এতে আমি বিরক্ত হয়না আমি মন থেকে মেনে নিয়েছি সে যেন জনগণের সেবক হয়ে থাকতে পারে।পরিশেষে তিনি বলেন, জীবন করতে চাই গঠন যেনো মরণে হাসিবে তিনি কাঁদিবে ভুবন। আমি সুখে দুঃখে সব সময় তার পাশে থেকে এ জীবন বিলিন করতে চাই। এ বিষয়ে কথা হয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ মনিরুল ইসলামের সাথে তিনি জানান, ঝিকরগাছা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনপদের খেটে খাওয়ার মানুষের ভালোবাসায় আমি ধন্য। তাদের ভালোবাসার রঙে আমার জীবন রাঙিয়েছি। এরচেয়ে বড় পাওয়া আর হতে পারেনা।এ মানুষগুলোর ভালোবাসা,শ্রদ্ধা ও স্নেহ থেকে আমি শক্তি পাই,কাজ করার অনুপ্রেরণা পাই। তাদের এমন কার্পণ্যহীন ভালোবাসা থেকে আল্লাহ আমার বেঁচে থাকার, অক্সিজেন যোগান দেন। আমি আল্লাহর কাছে একটা বিষয় প্রার্থনা করি, ঝিকরগাছা উপজেলার মানুষই আমার ঘর- সংসার।আমি চাই আমৃত্যু তাদের সাথে নিয়ে দুমুঠো ডাল -ভাত খাই। তিনি আরো বলেন, আল্লাহ আমাকে যা দিয়েছেন আমি কৃতজ্ঞ। আমি জনপ্রতিনিধি হয়েছি শুধু মানুষকে ভালোবেসে সেবা দিতে, জনসেবা দিয়ে যাবো আমৃত্যু-ইনশাল্লাহ।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১২ জুন ২০২০ /ইকবাল
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর